বাওয়ানী স্কুল এন্ড কলেজ

২৭, কামারগোপ, ডেমরা, ঢাকা
নোটিশ

ইতিহাস সম্পর্কিত তথ্য

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে “ডেমরা বলরাম শ্যামলাল ইনস্টিটিউট নামে অত্র এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে উক্ত বিদ্যালয়টি “ললিতা সুন্দরী বলরাম ইংরেজী স্কুল” নামে রূপান্তরিত হয়। এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের আর্থিক সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি পরিচালিত হতো। তখন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ছিলেন জনাব সফিউল হক প্রধান (নর্থ বেঙ্গল)। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে বাওয়ানী পরিবারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এহিয়া বাওয়ানী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় বাওয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় নাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করার শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক ছিলেন জনাব মোহাম্মদ তৈয়ব ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে ছিলেন জনাব আবদুল মালেক ভ‚ঁইয়া সাহেব। পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন জনাব এহিয়া বাওয়ানী। তখন বিদ্যালয়টির অবকাঠামো ছিলো টিনের দোচালা ঘর। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ইহা বিধ্বস্ত হয়। ঐ বছরই বর্তমানে অবস্থানরত পুরাতন ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। পর্যায়ক্রমে ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার খানে আলম খান সাহেবের অকৃত্রিম সহযোগিতায় ইহা তিন তলা ভবনে উন্নীত হয়। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, প্রজ্ঞা, দূরদর্শীতা ও মননশীলতায় প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার পূর্বাঞ্চলের আলোকিত মানুষ গড়ার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে উঠেছিল। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ০১/০১/১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে মানবিক বিভাগ, ১৯৬৬ খিস্টাব্দে বিজ্ঞান বিভাগ এবং ১৯৭২ খিস্টাব্দে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ অনুমোদন লাভ করে। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে ইহা এমপিওভুক্ত হয়। এস.এস.সি ভোকেশনাল কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে জেনারেল মেকানিক্স, বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স ও জেনারেল ইলেকট্রনিক্স মোট তিনটি ট্রেড খোলা হয়। পরবর্তীতে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি ও জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস্ ট্রেড খোলা হয়।

 

জমি দাতা

শ্রী সত্য গোপাল ১২ শতাংশ, শ্রী বলরাম পোদ্দার ১২ শতাংশ, মোহাম্মদ সরকার ১২ শতাংশ, বৈদ্যনাথ সাহা ০২ শতাংশ এবং হাজী আক্তারুন নেছা ০৭ শতাংশ জমি দান করেন।

অবকাঠামোঃ

দক্ষিণ পার্শ্ব খোলা রেখে পশ্চিমাংশে পাঁচ তলা, উত্তরাংশে তিন তলা (পুরাতন ভবন) এবং পূর্বাংশে ছয় তলা (নতুন ভবন) ভবন রয়েছে। তিনটি ভবনে মোট ৭০টি কক্ষ রয়েছে। তন্মধ্যে ৩৭টি শ্রেণি কক্ষ, ১টি প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, ১টি সহকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন, একটি সুবিশাল হল রুম, আইটি কক্ষ, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, অফিস কক্ষ, কারিগরি ওয়ার্কশপ, নামজ কক্ষ, সংরক্ষনাগার, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার, বেতন আদায় কাউন্টারসহ আরো ৩৩টি কক্ষ রয়েছে। সবগুলো কক্ষই বৈদ্যুতিক লাইট, ফ্যান এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রে সুসজ্জিত রয়েছে। শিক্ষার্থী শিক্ষকদের জন্য পর্যাপ্ত আধুনিক টয়লেট বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা রয়েছে।

 

শিক্ষার্থীর পোশাকঃ

বিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত পোশাক শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক।

বালকঃ নেভি ø প্যান্ট, সাদা শার্ট, কালো বেল্ট, সাদা জুতা, মোজা নির্ধারিত ব্যাজ পকেটে লাগাতে হবে। শীতকালে নেভি ø সোয়েটার পরিধান করতে হবে। নির্ধারিত পরিচয়পত্র গলায় ঝুলানো বাধ্যতামূলক।

 

বালিকাঃ সাদা রংয়ের সেলোয়ার, ওড়না, বেল্ট, জুতা, মোজা, ফিরোজা রংয়ের কামিজ। কামিজের বাম হাতায় নির্ধারিত ব্যাজ লাগাতে হবে। শীতকালে লাল সুয়েটার পরিধান করতে হবে। নির্ধারিত পরিচয়পত্র গলায় ঝুলানো বাধ্যতামূলক।

 

 

 

শিক্ষা পদ্ধতিঃ

বিদ্যালয়টিতে নার্সারী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা মাধ্যম পাঠদান করা হয়। প্রতিটি শ্রেণির একাধিক শাখা রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান, মানবিক ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ এবং ভোকেশনালে পাঁচটি ট্রেড চালু আছে। শিক্ষার্থীদের সঠিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিদ্যালয়টিতে দুইটি অধিবেশনে ভাগ করে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিদিন প্রত্যেক অধিবেশনের শুরুতে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে প্রাত্যহিক সমাবেশ হয়। তারপর সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে। তারপর সকল শিক্ষার্থী এক সাথে শপথ বাক্য পাঠ করে এবং জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে শারীরিক চর্চার শিক্ষক কিছু কসরত করান। সমাবেশে সকল শিক্ষার্থীর উপস্থিত বাধ্যতামূলক। শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত থেকে শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখভাল করেন। শৃঙ্খলার স্বার্থে শিক্ষকবৃন্দ পালাক্রমে ডেমরা জামাদানী পট্টি থেকে ডেমরা ঘাট পর্যন্ত ডিউটি করেন।

 

 

শিক্ষার্থী সংখ্যাঃ

বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানে ২২০০+ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।

 

 

শিক্ষকমন্ডলীঃ

প্রাথমিক, মাধ্যমিক ভোকেশনাল শাখায় মোট ৬১ জন শিক্ষককর্মচারী (পুরুষ ৩৮ জন মহিলা ২৩ জন) কর্মরত আছেন। শিক্ষকবৃন্দ অত্যন্ত মেধাবী এবং পাঠদানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। বর্তমানে বাওয়ানী স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে জনাব মোঃ ইসমাইল হোসেন সাহেব এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে জনাব মোঃ আরমান আলী সাহেব কর্মরত আছেন।

 

 

তৃতীয় চতৃর্থ শ্রেণির কর্মচারীঃ

বিদ্যালয়ে মোট ১০ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ১১ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আছেন।

 

সহশিক্ষা কার্যক্রমঃ

শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ থাকলে একজন শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ সৃজনশীল বিকাশ ঘটে না। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে অব্যাহত আছে নানাবিধি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। প্রতি বছর বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। উক্ত অনুষ্ঠানে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রধান অতিথি এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। বিদ্যালয়ে একটি সুদক্ষ সুশৃঙ্খল বয়েজ স্কাউটস এবং গার্লস গাইড টিম আছে। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর নানান কসরত প্রদর্শন করে থাকে। তাছাড়া বিদ্যালয়ে নিয়মিত বির্তক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দিবসে বিশেষ অনুষ্ঠান পালিত হয়ে থাকে। অত্যন্ত শোকাবহ পরিবেশে ১৫ আগস্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।



ফলাফলঃ

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অত্র বিদ্যালয়ের ফলাফল খুবই সন্তোষজনক বিভিন্ন বৎসরে এস.এস.সি পরীক্ষায় শতভাগ কৃর্তকার্যসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক + পেয়ে আসছে। জে.এস.সি পি.এস.সি পরীক্ষায়ও বৃত্তিসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক + রয়েছে। ভোকেশনাল শাখায় কারিগরি বোর্ডে ২০১২ খ্রিস্টাব্দ থেকে সমগ্র বাংলাদেশে যথাক্রমে ৬ষ্ঠ, ৫ম ৪র্থ স্থান অর্জনসহ শতভাগ কৃতকার্য হয়ে আসছে। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে এস.এস.সি পরীক্ষায় ১৪৬ টি + প্রাপ্তি বিদ্যালয়টির সেরা সাফল্য।

 

 

শেষ কথাঃ

অত্র প্রতিষ্ঠানের মূলনীতি হচ্ছে শিক্ষার্থীকে পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি বহুমূখী নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা শৃঙ্খলাবোধ শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শ মানুষ রূপে গড়ে তোলা। শিক্ষাদান বা প্রকৃত মানুষ রূপে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা শ্রেষ্ঠ নই তবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দাবীদার। আমরা দৃঢ় কন্ঠে বলতে পারি Ñ

 

১। আমরা চাই আপনার সন্তান বিজ্ঞান প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় সফলতা লাভ করুক যাতে ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে সে তার যোগ্য আসনটি খুঁজে নিতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের প্রচলিত প্রথা বিরোধী মৌলিক পাঠদান তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে ইনশাল্লাহ।

 

২। আমরা চাই আপনার সন্তান সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ জাতীর উন্নয়নে আতেœাৎসর্গ করুক এবং আমরা বিশ্বাস করি সঠিক মান সম্মত শিক্ষাদানে তাদের সেই লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

 

৩। আমরা চাই আপনার সন্তানের মধ্যে সকল মানবীয় গুণাবলী পরিষ্ফুট করে তুলতে যাতে করে ভবিষ্যৎ জীবনে সে মানব কল্যাণে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের নৈতিক শিক্ষাদান পদ্ধতি তাকে পরিপূর্ণ আলোকিত মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে ইনশাল্লাহ।

CLASSROOM

ক্লাস রুমের শিষ্টাচার

জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে শিষ্টাচার মেনে চলার অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। ক্লাস রুমেও কিছু আচারবিধি আছে, যা মেনে চললে শিক্ষার্থী নিজে যেমন উপকৃত হবে, তেমনি ক্লাসের সবাই সামগ্রিকভাবে উপকৃত হবে। ক্লাস রুমের শিষ্টাচার সম্পর্কে জানাচ্ছেন ——

 

১. নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হবে। অনিয়মিত ক্লাস করলে পড়া বুঝবে না। নির্দিষ্ট সময়ের পর ক্লাসে উপস্থিত হলে ক্লাস নিতে শিক্ষকের এবং ক্লাসের অন্যদের মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটে।

 

২. ক্লাসে শিক্ষক প্রবেশ করলে দাঁড়িয়ে সমস্বরে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলবে। শিক্ষক আগে প্রবেশ করলে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করবে।

 

৩. ক্লাসরুমে শিক্ষকের সামনে গা এলিয়ে দিয়ে কিংবা পায়ের ওপর পা তুলে বসবে না। সোজা হয়ে বসবে।

 

৪. ক্লাসে উদাসী হয়ে থাকবে না। মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকের কথা শুনবে। শিক্ষক কোনো প্রশ্ন করলে তার উত্তর দিবে।

 

৫. কোনো কিছু বুঝতে না পারলে প্রশ্ন করার অনুমতির জন্য হাত তোলো। শিক্ষক অনুমতি দিলে প্রশ্ন করবে। শিক্ষকের পাঠদান বুঝতে না পারলে অবশ্যই তাঁকে প্রশ্ন করে বুঝে নিবে। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে শিক্ষককে বিব্রত করার চেষ্টা করবে না।

 

৬. ক্লাস চলাকালে ইশারায় ডাকাডাকি করা, ফিসফাস করা বা জোরে জোরে নিজেরা কথা বলা, কাগজ, রুমাল বা কোনো কিছু ছোড়াছুড়ি করবে না।

 

৭. ক্লাসে পাঠ্য বই ছাড়া অন্য বই খুলে পড়া/দেখা কিংবা খাতার নিচে গল্পের বই লুকিয়ে রেখে পড়া, আড়ালে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকা, চুইংগাম বা মুখে কোনো খাবার চিবানো থেকে বিরত থাকবে।

 

৮. শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে হলে একজন একজন করে বলো, কয়েকজন একসঙ্গে নয়।

 

৯. ভালো শিক্ষার্থীরা দুর্বল শিক্ষার্থীদের পড়া বুঝতে সাহায্য করবে। এতে দুর্বল শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় মনযোগী হয়ে উঠবে।

 

১০. ক্লাস চলাকালে কিছু সময়ের জন্য শিক্ষক বাইরে গেলেও শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করো। কথা বলা, আসন ছেড়ে ওঠাসহ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না।

 

১১. নতুন শিক্ষককে তার প্রথম ক্লাস থেকেই আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে। আগের কোনো শিক্ষকের সঙ্গে তুলনা করবে না। তাকে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয় সময় দিবে।

 

১২. শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে তার চেয়ার বা টেবিলে বসবে না। নিজেদের ডেস্ক বা হাই-বেঞ্চেও বসবে না।

 

১৩. দেওয়ালে, বেঞ্চে কোন ধরনের লেখা লিখবে না, ছবি আকঁবে না।

 

১৪. ক্লাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে। ময়লা আবর্জনা নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলবে।

 

১৫. শিক্ষকের দেওয়া বাড়ির কাজ ডায়েরীতে লিখবে, শিক্ষক ক্লাশ ত্যাগের সময় দাড়িয়ে সম্মান জানাবে।

LABORATORY

ল্যাবরেটরিতে গবেষণারত শিক্ষার্থী

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ সপ্তাহের জন্য রসায়ন পাঠ্য বই থেকে একটি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণীর চতুর্থ এ্যাসাইনমেন্ট এর অন্যান্য বিষয়ের সাথে রসায়ন বিষয়ের চতুর্থ অ্যাসাইনমেন্ট সঠিক নিয়মে সম্পন্ন করে জমা দিবে। এখানে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক শীর্ষক একটি প্রতিবেদন লিখতে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞান বিভাগের বন্ধুরা, তোমরা কেমন আছো? আশা করছি ভালো আছো। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়ায় প্রায়শই আমাদেরকে ল্যাবরেটরীতে অবস্থান করতে হয়। ল্যাবরেটরীতে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পদার্থ থাকে। আজকের আলোচনায় থাকছে- প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক শীর্ষক প্রতিবেদন।

PLAYGROUND

সবুজে ঘেরা নান্দনিক খেলার মাঠ

একটি  মাঠ হল একটি বৃহৎ তৃণআচ্ছাদিত মাঠ, যেখানে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও আকারে সাধারণত উপবৃত্তের মত, এর মধ্যেও আবার বিভিন্ন ধরন রয়েছে: কিছু প্রায় নিখুঁত বৃত্তের মত, কিছু লম্বাটে উপবৃত্তাকার এবং কিছু সম্পূর্ণ অনিয়মিত আকারের,- যার কোনও প্রতিসাম্য নেই – তবে তাদের সকলেরই সম্পূর্ণ বক্র সীমানা থাকে, তার কোন ব্যতিক্রম হয়না। মাঠের জন্য কোনও নির্দিষ্ট মাত্রা থাকেনা তবে এর ব্যাস সাধারণত ৪৫০ ফুট (১৩৭ মি) এবং ৫০০ ফুটের (১৫০ মি) মধ্যেই হয়। বড় খেলাগুলির মধ্যে ক্রিকেট একটু অস্বাভাবিক (গল্ফ, অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল এবং বেসবল সহ) যেখানে পেশাদার খেলার জন্য নির্দিষ্ট আকারের কোনও স্থিরীকৃত নিয়ম নেই। বেশিরভাগ মাঠে, একটি দড়ি দিয়ে মাঠের পরিধি নির্দিষ্ট করা হয় এবং সেটি বাউন্ডারি নামে পরিচিত।

সীমানার মধ্যে এবং সাধারণত যতটা সম্ভব কেন্দ্রের কাছাকাছি, থাকে বর্গক্ষেত্র, যেটি সাবধানে প্রস্তুত ঘাসের একটি অঞ্চল।

সেখানে ক্রিকেট পিচ প্রস্তুত করে খেলার জন্য চিহ্নিত করা হয়। পিচের মধ্যে ব্যাটসম্যান তাকে করা বলকে ব্যাট দিয়ে মারে এবং রান করার জন্য দুই পাশের উইকেটের মধ্যে দৌড়োয়, ফিল্ডিং দল এটিকে প্রতিরোধ করতে বলটি যে কোন এক দিকের উইকেটে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।